Icon to view photos in full screen

“আমি চাইতাম আমার মেয়েরা যেন ‘একজন ক্রীড়াবিদের সন্তান’ হিস��বে পরিচিত হয়, ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সন্তান’ হিসেবে নয়।”

, যার অর্থ তিনি হুইলচেয়ারে বসে টিটি খেলতে পারবেন। “এভাবে জীবন পুরোপুরি ঘুরে এল,” তিনি বলেন। “আমার লক্ষ্য ২০২৮ অলিম্পিকে টিটিতে সোনা জেতা।”
ব্যক্তিগত গৌরবই অমরেশের একমাত্র লক্ষ্য নয়; স্কুলশিক্ষকের চাকরির পাশাপাশি তিনি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের খেলাধুলাকে ক্যারিয়ার হিসেবে গ্রহণ করতে উৎসাহ দিয়ে আসছেন। তিনি তাদের শুটিং ও টিটি শেখান, এবং রাজ্য, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তাদের অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখে গর্ব অনুভব করেন। শুরুটা হয়েছিল তার ভাই অভিনবের (অভিষেকের) সঙ্গে—যিনি বয়সে তার থেকে দুই বছরের ছোট এবং পোলিও সারভাইভার। দুর্ঘটনার পর অমরেশ তাকে প্যারা টিটি নিতে উৎসাহিত করেন এবং আজ তিনি ভারতের র‌্যাঙ্কিংয়ে দুই নম্বরে।
অমরেশ তার দুই মেয়ে আরাধ্যা (১১) এবং আদিত্রী (৭)-কেও প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। আরাধ্যা ইতিমধ্যেই শুটিংয়ে পদক জিতছে; বাবার “লক্ষ্য তাকে অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন করা।” আদিত্রীকে টিটি শেখানো হচ্ছে এবং ১০ বছর বয়সে যোগ্যতা অর্জন করলেই সে শুটিংয়ে যাবে। “আমার স্ত্রী মঞ্জুলা ছাড়া আমার জীবন অসম্পূর্ণ,” বলেন অমরেশ। তিনি একজন শিক্ষিকা, এবং তারা “৫০-৫০ পার্টনার।”
“এখন যেহেতু টিটি আর শুটিং—দুই ক্ষেত্রেই আমি ভালো, আমাকে ঠিক করতে হবে কোনটিতে আমি আরও দক্ষ,” অমরেশ বলেন, “যাতে আমি দেশকে প্রতিনিধিত্ব করে অলিম্পিকে সোনা জেতাতে পারি।”

ছবি:

ভিকি রয়